রেফ্রিজারেটরের ?




রেফ্রিজারেটরের ৪টা প্রধান অংশ থাকে। কম্প্রেসার,কন্ডেন্সার,এক্সপানসন ভাল্ব আর ইভাপোরেটর। আর একটা রাসায়নিক পদার্থ থাকে যেটা এই গোটা ব্যবস্থা মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। এটাকে রেফ্রিজারেন্ট বলে। আগে এই রাসায়নিক পদার্থ হিসেবে ইউজ করা হত ক্লোরোফ্লুরোকার্বন। কিন্তু সেটা ওজোন স্তরের জন্য ক্ষতিকর বলে এখন আর ব্যবহার করা হয়না।এখন R-134a(টেট্রাফ্লুরোইথেন), হাইড্রোক্লোরোফ্লুরোকার্বন (HCFC's) অথবা হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (HFC's) ব্যবহার করা হয়।

রেফ্রিজারেশনের প্রক্রিয়াটা অনেকটা এরকমঃ
কম্প্রেসার বায়বীয় অবস্থায় রেফ্রিজারেন্টকে পায়। ইলেক্ট্রিসিটি নেয় এবং কম্প্রেস করে রেফ্রিজারেন্টটার চাপ বাড়িয়ে দেয়। এসময় তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। কারণটা এভাবে এনালজি দিয়ে বোঝা যায়ঃ খুব অল্প জায়গায় যখন অনেক মানুষ থাকে (যেমন ধরুন গিজগিজ করতে থাকা টিকেট লাইনে অথবা সিনেমা হল থেকে বের হবার সময়) তখন দেখা যায় বেশ গরম লাগে। জায়গা কম তাই নিজেদের তাপটাকে ঐ অল্প জায়গাতেই রাখতে হচ্ছে। তাই আগের চেয়ে তাপমাত্রা বেড়ে্ যায়। কম্প্রেসার কালো একটা ট্যাঙ্কির মত দেখতে। ফ্রিজের নিচের দিকে পেছনে থাকে সাধারণত। আমার বাসারটাতে এই জায়গাতেই আছে।

এরপর বায়বীয় রেফ্রিজারেন্ট যায় কনডেন্সারে। এখানে সে তাপ ছেড়ে দেয় ও তরলে পরিণত হয়। ফ্রিজের পেছনে অনেকগুলো প্যাঁচানো নলের মত দেখা যায় না? ওগুলোই কনডেনসার। অর্থাৎ কনডেনসার তাপ ছেড়ে দিয়ে রেফ্রিজারেন্টটাকে ঠান্ডা করল ও তরল করল। তাপ ছেড়ে দিল কিন্তু পেছন দিক দিয়ে ঘরের মধ্যেই। এজন্যি ফ্রিজের পেছনে যদি আপনি কখনো হাত দিয়ে দেখেন দেখবেন গরম লাগে।

কনডেনসার হয়ে তরল ও ঠান্ডা রেফ্রিজারেন্ট যায় এক্সপানসন ভাল্বে। সেখানে হুট করেই রেফ্রিজারেন্টটা প্রসারিত হবার জন্য জায়গা পেয়ে যায়। তাই সে প্রসারিত হয়। প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে তাপমাত্রার পরিমাণ আরো কমে যায় (ঠিক যেমনটা হয় মানুষে গিজগিজ করতে থাকা ব্যাঙ্কের লাইন থেকে আপনি যখন বেরিয়ে বাইরে আসেন)।
এসময় আরেকটা ব্যাপার ঘটে। সেটা হচ্ছে কিছু পরিমাণ (পুরোটা না) রেফ্রিজারেন্ট, যেটা তরল ছিল তা বাষ্পে পরিণত হয়। এরোসল যেমন ক্যানের ভেতরে তরল কিন্তু বাইরে স্প্রে করার পর অনেক জায়গা পেয়ে বায়বীয় হয়ে যায় সেরকম। কিন্তু এরোসলের মত রেফ্রিজারেন্টটা এত সহজে বাষ্পায়িত হয় না বলেই পুরোটা হয়না,অল্প পরিমাণ হয় কিন্তু রেফ্রিজারেন্টের তাপমাত্রা বেশ কমে যায়।


মোটামুটি সাইকেলের শেষ দিকে এসে পড়লাম। এবারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এভাপোরেটরগুলো থাকে চেম্বারের পাশে। মানে যেখানে আমরা খাবার দাবার রাখি তার আশেপাশে কিন্তু ভেতরে। এটা আমরা দেখতে পাইনা। যখন ঠান্ডা রেফ্রিজারেন্ট এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন খাবারের মধ্যে জমে থাকা তাপ নিয়ে রেফ্রিজারেন্টটা বাষ্প হয়ে যায়। এই যে খাবারের মধ্য থেকে তাপ নিয়ে গেল,এতেই খাবার ঠান্ডা হয়ে যায়। এরপর এই বায়বীয় রেফ্রিজারেন্ট কম্প্রেসারে যায় এবং একইভাবে রেফ্রিজারেশন সাইকেল চলতে থাকে।
রেফ্রিজারেটরের ৪টা প্রধান অংশ থাকে। কম্প্রেসার,কন্ডেন্সার,এক্সপানসন ভাল্ব আর ইভাপোরেটর। আর একটা রাসায়নিক পদার্থ থাকে যেটা এই গোটা ব্যবস্থা মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। এটাকে রেফ্রিজারেন্ট বলে। আগে এই রাসায়নিক পদার্থ হিসেবে ইউজ করা হত ক্লোরোফ্লুরোকার্বন। কিন্তু সেটা ওজোন স্তরের জন্য ক্ষতিকর বলে এখন আর ব্যবহার করা হয়না।এখন R-134a(টেট্রাফ্লুরোইথেন), হাইড্রোক্লোরোফ্লুরোকার্বন (HCFC's) অথবা হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (HFC's) ব্যবহার করা হয়।

রেফ্রিজারেশনের প্রক্রিয়াটা অনেকটা এরকমঃ
কম্প্রেসার বায়বীয় অবস্থায় রেফ্রিজারেন্টকে পায়। ইলেক্ট্রিসিটি নেয় এবং কম্প্রেস করে রেফ্রিজারেন্টটার চাপ বাড়িয়ে দেয়। এসময় তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। কারণটা এভাবে এনালজি দিয়ে বোঝা যায়ঃ খুব অল্প জায়গায় যখন অনেক মানুষ থাকে (যেমন ধরুন গিজগিজ করতে থাকা টিকেট লাইনে অথবা সিনেমা হল থেকে বের হবার সময়) তখন দেখা যায় বেশ গরম লাগে। জায়গা কম তাই নিজেদের তাপটাকে ঐ অল্প জায়গাতেই রাখতে হচ্ছে। তাই আগের চেয়ে তাপমাত্রা বেড়ে্ যায়। কম্প্রেসার কালো একটা ট্যাঙ্কির মত দেখতে। ফ্রিজের নিচের দিকে পেছনে থাকে সাধারণত। আমার বাসারটাতে এই জায়গাতেই আছে।

এরপর বায়বীয় রেফ্রিজারেন্ট যায় কনডেন্সারে। এখানে সে তাপ ছেড়ে দেয় ও তরলে পরিণত হয়। ফ্রিজের পেছনে অনেকগুলো প্যাঁচানো নলের মত দেখা যায় না? ওগুলোই কনডেনসার। অর্থাৎ কনডেনসার তাপ ছেড়ে দিয়ে রেফ্রিজারেন্টটাকে ঠান্ডা করল ও তরল করল। তাপ ছেড়ে দিল কিন্তু পেছন দিক দিয়ে ঘরের মধ্যেই। এজন্যি ফ্রিজের পেছনে যদি আপনি কখনো হাত দিয়ে দেখেন দেখবেন গরম লাগে।

কনডেনসার হয়ে তরল ও ঠান্ডা রেফ্রিজারেন্ট যায় এক্সপানসন ভাল্বে। সেখানে হুট করেই রেফ্রিজারেন্টটা প্রসারিত হবার জন্য জায়গা পেয়ে যায়। তাই সে প্রসারিত হয়। প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে তাপমাত্রার পরিমাণ আরো কমে যায় (ঠিক যেমনটা হয় মানুষে গিজগিজ করতে থাকা ব্যাঙ্কের লাইন থেকে আপনি যখন বেরিয়ে বাইরে আসেন)।
এসময় আরেকটা ব্যাপার ঘটে। সেটা হচ্ছে কিছু পরিমাণ (পুরোটা না) রেফ্রিজারেন্ট, যেটা তরল ছিল তা বাষ্পে পরিণত হয়। এরোসল যেমন ক্যানের ভেতরে তরল কিন্তু বাইরে স্প্রে করার পর অনেক জায়গা পেয়ে বায়বীয় হয়ে যায় সেরকম। কিন্তু এরোসলের মত রেফ্রিজারেন্টটা এত সহজে বাষ্পায়িত হয় না বলেই পুরোটা হয়না,অল্প পরিমাণ হয় কিন্তু রেফ্রিজারেন্টের তাপমাত্রা বেশ কমে যায়।


মোটামুটি সাইকেলের শেষ দিকে এসে পড়লাম। এবারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এভাপোরেটরগুলো থাকে চেম্বারের পাশে। মানে যেখানে আমরা খাবার দাবার রাখি তার আশেপাশে কিন্তু ভেতরে। এটা আমরা দেখতে পাইনা। যখন ঠান্ডা রেফ্রিজারেন্ট এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন খাবারের মধ্যে জমে থাকা তাপ নিয়ে রেফ্রিজারেন্টটা বাষ্প হয়ে যায়। এই যে খাবারের মধ্য থেকে তাপ নিয়ে গেল,এতেই খাবার ঠান্ডা হয়ে যায়। এরপর এই বায়বীয় রেফ্রিজারেন্ট কম্প্রেসারে যায় এবং একইভাবে রেফ্রিজারেশন সাইকেল চলতে থাকে।

No comments:

Post a Comment